ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

২শ’ কোটি টাকায় হচ্ছে বাঁকখালী সেতু

তুষার তুহিন :
২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের কস্তুরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজার-খুরুশ্কুল সংযোগ সেতু। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ ওই ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আর্ন্তজাতিকমানের উন্নীতকরণ কাজের প্রথম ধাপে নির্মিত হচ্ছে সেতুটি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন কাজের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল হাসিব জানান, সমিতিপাড়া , কুতুবদিয়াপাড়া, নাজিরটেকের বাসিন্দাদের জন্য বিমানবন্দর প্রকল্পের আওতায় খুরুশ্কুলে আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। সেখানে যাতায়াতের জন্য বাঁকখালী নদীর উপর একটি ব্রীজ ও ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজ বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ জন্য সংস্থাটিকে ২’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এলজিআরডি সূত্র জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এ জন্য পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবারকে খুরুশ্কুল আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা হবে। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীসহ খুরুশ্কুল বাসীর চলাচলের সুবিধার্থে কস্তুরাঘাটস্থ বিআইডাব্লিই ভবনের পশ্চিমপাশে নির্মিত হবে খুরুশকুল ব্রীজ। আর সেতুটি দেশীয় নকশায় তৈরি হবে। এত দীর্ঘ সেতু এর আগে কখনো দেশীয় নকশায় তৈরি হয়নি। সেতুটির  সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। তবে আপাতত ২৩০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার এলজিআরডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলম সিদ্দীকি জানান, এটি লং প্রিস্টেইট বক্স গার্বার ব্রীজ। এটাই সর্বপ্রথম সর্ববৃহৎ সংযোগ সেতু যেটির নকশা করেছেন এলজিআরডি। এটি বুয়েট দ্বারা রেটিং করা হয়েছে। ৫৯৫ মিটার ব্রীজের দুপ্রান্তে ৫০ মিটারের ৮ টি স্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে।  মাঝখানে ৬৫ মিটারের ৩ টি স্ট্যান্ড নির্মিত হবে। এপ্রোচ সড়ক নির্মিত হবে ২ হাজার ৩০০ মিটার।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩০ আগষ্ট ঢাকা থেকে ওই ব্রীজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। যা জমাদানের শেষ তারিখ আগামী ৪ অক্টোবর। এরপর ৫ অক্টোবর নির্ধারিত হবে ঠিকাদার । তারপর ঠিকাদারকে ওয়াক অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যে ব্রীজ নির্মাণ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার এলজিআরডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম সিকদার লিটন জানান, সব প্রক্রিয়া শেষ করতে মাস দুয়েক সময় লাগবে। আশা করা যায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এদিকে ব্রীজ নির্মাণের যাবতীয় কাজ এলজিআরডি এগিয়ে নিয়ে গেলেও জেলা প্রশাসন এখনো ব্রীজের সংযোগ সড়কের নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহন করেনি। তবে মাসখানেকের মধ্যেই জমি অধিগ্রহন শেষ হবে বলে  জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এবিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, নদী সরকারি তাই ব্রীজ নির্মাণে জমি অধিগ্রহনের দরকার নেই। তবে সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য কিছু জমি অধিগ্রহন করতে হবে। আগামী মাসের মধ্যেই ব্রীজ নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহন কাজ শেষ করা হবে।

পাঠকের মতামত: